এক নজরে খুলনা পাবলিক কলেজ
ঠিকানা: | খুলনা পাবলিক কলেজ, বয়রা, খুলনা-৯০০০ | ||
যোগাযোগ: | অধ্যক্ষ : | ০২৪৭৭৭০১৩৩৯ | |
উপাধ্যক্ষ: | প্রভাতী: | ০২৪৭৭৭০০২২৩৩, ০২৪৭৭৭০৩৬৯২ | |
দিবা: | ০২৪৭৭৭০২৭১০, ০২৪৭৭৭০৩৩৮৭ | ||
ই-মেইল: | kpcbd.org@gmail.com | ||
ওয়েব সাইট: | www.kpcbd.edu.bd | ||
প্রতিষ্ঠা: | ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৭ | ||
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা | |||
কর্তৃপক্ষ: | শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার | ||
বাংলাদেশ গেজেট | |||
নোটিফিকেশন: | ১৮ আগস্ট, ১৯৮৮ | ||
উদ্বোধন: | কাজী আজহার আলি, তৎকালীন শিক্ষা সচিব | ||
মর্যাদা: | *শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত | ||
জমির পরিমাণ: | ৫.৩৪৮২ একর | ||
ছাত্র সংখ্যা: | প্রায় ২৫০০ (প্রভাতী+দিবা) | ||
শিক্ষার স্তর: | তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (শুধু বালক) | ||
শিফট: | ২টি (প্রভাতী ও দিবা) | ||
শিক্ষার মাধ্যম: | বাংলা | ||
বিভাগ: | বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স-ব্যাংকিং ও বীমা, অর্থনীতি, পৌরনীতি, পরিসংখ্যান, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলা । | ||
হাউস: | ১টি (কাজী আজহার আলি হাউস) | ||
গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা: | প্রায় সাত হাজার
|
||
শ্রেণিকক্ষ: | ৫০টি | ||
গবেষণাগার: | ৮টি | ||
শিক্ষা বোর্ড: | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, যশোর | ||
সংক্ষিপ্ত নাম: | KPC | ||
কলেজ কোড: | ৩৬০০ | ||
কলেজ EIIN No: | 117111 |
এক নজরে খুলনা পাবলিক কলেজ
ষাটের দশকের শেষের দিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক খুলনা শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান কলেজ ভবনটি নির্মিত হয়। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার এক যুগেরও পর স্থানীয় জনগণের আগ্রহ ও তদানীন্তন শিক্ষা সচিব জনাব কাজি আজহার আলির আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৭ সালে ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুকরণে সুন্দরবন বয়েজ পাবলিক স্কুল নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। একই বছরে কলেজ সেকশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৮৮ সালের ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় খুলনা পাবলিক কলেজ। এরপর ১৯৮৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির সাফল্যের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং জনগণের শিক্ষা চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০০৩ সালে এ কলেজে দিবা শাখা খোলার অনুমোদন দেয়। বর্তমানে কলেজটিতে প্রভাতী ও দিবা শাখার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি খুলনা পাবলিক কলেজ ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে দেশের একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের অবস্থান সমুন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত বয়রা এলাকায় খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে কলেজটি দাঁড়িয়ে আছে।
খুলনা পাবলিক কলেজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদলে তৃতীয় হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র ছেলেরা এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারে ।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র হচ্ছে
কলেজটিতে বর্তমানে প্রভাতী ও দিবা উভয় শাখায় মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য উন্নত অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সুবিধাদি রয়েছে । একদল প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর নিবিড় তত্ত্বাবধানে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । প্রতি বছর কলেজটি পাবলিক পরীক্ষাসমূহে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে । ইতোমধ্যে দেশের সেরা মানুষ গড়ার আঙ্গিনা হিসাবে খুলনা পাবলিক কলেজ দক্ষিণবঙ্গ তথা সারা দেশের মধ্যে নিজের অবস্থান সমুন্নত করতে সক্ষম হয়েছে ।
বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সরকারি আদেশে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেনা শিক্ষা কোরের অফিসার লে.কর্নেল আবদুল মোক্তাদের, এইসি অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন । তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজের সার্বিক শৃঙ্খলা ও শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন গতিশীলতার সঞ্চার হওয়ার পাশাপাশি সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে ।